Source: Manabzamin
বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড বো-এর এমপি এবং এপিপিজি বাংলাদেশের চেয়ার মিস রুশনারা আলীসহ যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিনিধিদল বেক্সিমকোর ভার্টিক্যাল লিডস গ্রিন সার্টিফাইড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন করেন। তারা আশান্বিত হন, মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উন্নত প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং গবেষণা ও উন্নয়নে মূল্য সংযোজন এবং উদ্ভাবনের বিষয়ে বেক্সিমকো’র উদ্যোগ দেখে।
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আরও ছিলেন বৃটিশ হাইকমিশনার এইচ ই রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, স্ট্যালিব্রিজ এবং হাইডের এমপি এবং ব্যবসা, শক্তি ও শিল্প কৌশল (বিইআইএস)-এর শ্যাডো সেক্রেটারি অব স্টেট জনি রেনল্ডস, বেডফোর্ডের এমপি এবং এপিজি বাংলাদেশের মোহাম্মদ ইয়াসিন, আইপিএসউইচ এবং এপিপিজি’র বাংলাদেশের এমপি টম হান্ট, রুশনারা আলীর সহকারী এবং এপিপিজি’র বাংলাদেশ সচিবালয়ের সদস্য অ্যামি লিমিং এবং বৃটিশ হাইকমিশন, ঢাকার দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) মিসেস ডয়েইন অ্যাডেল শিয়ানবোলা।
তারা বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বেক্সিমকো’র দৃষ্টি ও কৌশল, উৎপাদন ও টেকসই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং ভবিষ্যতের পণ্য এবং বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। প্রতিনিধিদলটি টেক্সটাইল, পোশাক, পিপিই এবং সিরামিকের অত্যাধুনিক উৎপাদন এবং সর্বোত্তম শ্রেণির কর্মচারীদের ধরে রাখা ও একটি সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনী দেখে অত্যন্ত মুগ্ধ হন। এ সময় ক্রীড়া সুবিধা এবং বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও পিপিই পার্কের মতো সুন্দর ক্যাম্পাস দেখেও মুগ্ধ হন।
এপিপিজি টিম শাইনপুকুর সিরামিক দেখে খুব মুগ্ধ হন। শাইনপুকুর সিরামিক রয়্যাল ডউলটন, রয়্যাল অ্যালবার্ট এবং অন্য গ্রাহকদের জন্য সূক্ষ্ম চীনামাটির বাসন উন্নতমানের চায়না বোন দিয়ে তৈরি করে থাকে। বেক্সিমকো হেলথ পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক পরিদর্শন করেও তারা অভিভূত হন। যেটি পিপি চিপস থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ ভার্টিক্যাল ও মেল্টাউন কাপড়ের পাশাপাশি লেভেল-৩ ও ৪ গাউন, সার্জিক্যাল এবং সব ধরনের সার্জিক্যাল মাস্কের জন্য উচ্চ স্তরের কাপড় তৈরি করে। এই সুবিধাটিতে বড় আকারের ইটিও সুবিধাও রয়েছে। গাউন এবং কভারগুলো সম্পূর্ণ ফার্মাসিউটিক্যাল ‘‘ক্লিন-রুম’’ পরিবেশে সেলাই করা হয়।
প্রতিনিধিদলটি ইন্টারটেক (পরীক্ষায় ১৩০ বছর বয়সী নেতার যুক্তরাজ্যের কোম্পানি) পরিদর্শন করেছে। ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনের জোরালো সহযোগিতায় বেক্সিমকো ও ইন্টারটেক, বেক্সিমকো হেলথ পিপিই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে একটি পিপিই সেন্টার অফ এক্সিলেন্স তৈরি করেছে, যা যুক্তরাজ্যের মান মেনে চলার জন্য সবস্তরের পরীক্ষা করতে সক্ষম। এই ল্যাবটি দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত স্বাধীন পিপিই ল্যাবরেটরি, যেখানে মাইক্রোবায়োলজিক্যাল টেস্টিংসহ ব্যাপক পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে।